পাতা:শান্তিনিকেতন (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন সকল দ্বন্দের সমাধানের মধ্যে উপনিষৎ সেই পরম পরিপুর্ণকে দেখেছেন বলেই সত্যের একদিকেই সমস্ত ঝোকটা দিয়ে তার অন্ত দিকটাকে একেবারে নিৰ্ম্মল করে দিতে চেষ্টা করেননি। সেইজন্তে তিনি যেমন বলেছেন “এতজ জ্ঞেয়ং নিত্যমেবাত্মসংস্থং নাতঃপরং বেদিতব্যং হি কিঞ্চিৎ” অর্থাৎ, আত্মাতেই যিনি নিত্য স্থিতি করচেন তিনিই জানবার যোগ্য, তার পর জানবার যোগ্য আর কিছুই নেই;—তেমনি আবার বলেছেন,— “তে সৰ্ব্বগং সৰ্ব্বতঃ প্রাপ্য ধীরা যুক্তাত্মান: সৰ্ব্বমেবাবিশন্তি ।” অর্থাৎ সেই ধীরের যুক্তাত্মা হয়ে সৰ্ব্বব্যাপীকে সকল দিক হতেই লাভ করে সর্বত্রই প্রবেশ করেন । “আত্মন্ত্যেবাত্মানং পশুতি” নয়, কেবল আত্মার মধ্যেই আত্মাকে দেখা নয়—সেই দেখাই আবার সৰ্ব্বত্রেই।