পাতা:শান্তিনিকেতন (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন দেখতে পাইনে সেখানে প্রসাদেও মন নিশ্চিন্ত হয় না—কারণ, সেই প্রসাদের উপর আমার নিজের কোনো দাবী নেই—সেটা একেবারেই এক তরফা জিনিষ । অথচ যার সঙ্গে এতবড় কারবার তার সঙ্গে মানুষ নিজের একটা যোগের পথ না খুলে যে বঁচিতে পারে না । কিন্তু তার মধ্যে যদি কোনো নিয়ম না থাকে তবে তার সঙ্গে যোগেরও ত কোনো নিয়ম থাকৃতে পারে না । এমন অবস্থায় যে লোকই তাকে যে রকমই তুক্তাক্ বলে তাই সে অঁাকড়ে থাকতে চায়, সেই তুক্তাক যে মিথ্যে তাও তাকে বোঝানো অসম্ভব—কারণ, বোঝাতে গেলেও নিয়মের দোহাই দিয়েই ত বোঝাতে হয় ! কাজেই মানুষ মন্ত্রতন্ত্র তাগা তাবিজ এবং অর্থহীন বিচিত্র বাহপ্রক্রিয়া নিয়ে অস্থির হয়ে বেড়াতে থাকে। জগতে এ রকম করে থাকা ঠিক পরের বাড়ী থাকা । সেও আবার এমন পর যে