পাতা:শান্তিনিকেতন (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজে মুক্তি হয়ে আসে। অতএব মানুষের সমাজ সমাজস্থ প্রত্যেকের স্বার্থ সাধনের প্রকৃষ্ট উপায় । এই প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ সমাজে আবদ্ধ হয়েছে এই কথাকেই অস্তরের সঙ্গে যদি সত্য বলে জানি তাহলে সমাজকে মানব হৃদয়ের কারাগার বলতে হয়—সমাজকে একটা প্রকাও এঞ্জিনওয়ালা কারখানা বলে মানতে হয়— ক্ষুধানলদীপ্ত প্রয়োজনই সেই কলের কয়ল। জোগাচে । ষে হতভাগ্য এই রকম অত্যন্ত প্রয়োজনওয়ালা হয়ে সংসারের থাটুনি খেটে মরে সে ত কৃপাপাত্র সন্দেহ নেই। সংসারের এই বন্দিশাল-মূৰ্ত্তি দেখেই ত সন্তাসী বিদ্রোহ করে ওঠে—সে বলে প্রয়োজনের তাড়ায় আমি সমাজের হরিণবাড়িতে পাথর ভেঙে মরব ? কোনোমতেই না । জানি আমি প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বড় । ম্যাঞ্চেষ্টার আমার কাপড় জোগাবে ? দরকার কি ! 鲁遭