পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন ক্ষুধাতুরতা দিয়ে তাকে জানাতে হয় প্রাণের খাদ্য তার মধ্যে নেই। যে দেশ কাদূতে ভুলে গেছে, খোজবার কথা যার মনেও নেই তার হয়ে একলা কাদা, একলা খোজা এই হচ্চে মহত্ত্বের একটি অধিকার । অসাড় দেশকে জাগাবার জন্তে যখন বিধাতার আঘাত এসে পড়তে থাকে তখন যেখানে চৈতন্ত আছে সেইখানেই সমস্ত আঘাত বাজতে থাকে—সেইখানকার বেদন দিয়েই দেশের উদ্বোধন আরম্ভ হয়। আমরা র্যার কথা বলছি তার সেই সহজচেতনা কিছুতেই লুপ্ত হয়নি—সেই র্তার চেতনা চেতনাকেই খুজছিল— স্বভাবতই কেবল সেই দিকেই সে হাত বাড়াচ্ছিল – চারদিকে যে সকল স্থল জড়ত্বের উপকরণ ছিল তাকে সে প্রাণপণ বলে ঠেলে ফেলে দিচ্ছিল—চৈতন্য না হলে চৈতন্য আশ্রয় পায় না যে । ૨.8