পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ববোধ তোমার যে সাধকের একদিন বাস করেছেন র্তার এই ভুারতবর্ষেই বিচরণ করেছেন— তারা এই আকাশের দিকেই চোখ তুলে একদিন এমন নি:সংশয় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলে উঠেছিলেন, কোহেরান্তাং ক: প্রাণাং যদেষ অকাশ আনন্দো ন স্তাৎ—কেই বা শরীরচেষ্টা করত কেই বা জীবনধারণ করত যদি এই আকাশে আনন্দ না থাকৃতেন । যারা নিজের বোধের মধ্যে সমস্ত আকাশকেই আনন্দময় বলে জেনেছিলেন তাদের পদধূলি এই ভারতবর্ষের মাটির মধ্যে রয়েছে--সেই পবিত্র ধূলিকে মাথায় নিয়ে হে সৰ্ব্বব্যাপী পরমানন্দ তোমাকে সৰ্ব্বত্র স্বীকার করার শক্তি আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত হোক –যাক সমস্ত বাধাবন্ধ ভেঙে যাকৃ—দেশের মধ্যে এই আনন্দবোধের বস্তা এসে পড়,ক্—সেই আনন্দের বেগে মানুষের সমস্ত ঘরগড় ব্যবধান চুর্ণ হয়ে যাক, শক্রমিত্র মিলে যাক, ৯৯