পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক করেছেন—এই যে বনটির পল্লবঘন নিস্তব্ধতার মধ্যে নিবিষ্ট হয়ে ছায়া এরং আলো দুই ভাইবোনে মিলে পৃথিবীর উপরে নামাবলীর উত্তরীয় রচনা করচে, সেই পবিত্র শিল্পচাতুরী আমাদের বনবাসী আদি পুরুষেরা সেদিনও দেখেছেন যেদিন তারা সরস্বতীর কুলে প্রথম কুটার নিৰ্ম্মাণ করতে আরম্ভ করেচেন। এ সেই মাকাশ, এ সেই ছায়ালোক, এ সেই অনিৰ্ব্বচনীয় একটি প্রকাশের ব্যাকুলতা, যার দ্বারা সমস্ত শৃষ্ঠকে ক্রন্দিত করে শুনেছিলেন বলেই ঋষিপিতামহেরা এই অন্তরিক্ষকে ক্রন্দসী নাম দিয়েছিলেন । আবার এখানে মানবের কণ্ঠ থেকে যে মন্ত্র উচ্চারিত হচ্চে সেও কত যুগের প্রাচীন বাণী ! পিতানোহসি, পিতানোবোধি, নমস্তেহস্তু —এই কথাটি কত সরল, কত পরিপূর্ণ, এবং কত পুরাতন। যে ভাষায় এ বাণীটি প্রথম ব্যক্ত হয়েছিল সে ভাষা অীজ (È