পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন বেয়ে নিজের জীবনের দিকে যখন তাকাতুম তখন আমার জীবনের দূরবিস্তৃত ভবিষ্যৎ তার অনাবিষ্কৃত রহস্তলোক থেকে এমন একটি বঁশি বাজাত যাতে আমার সমস্ত চিত্ত দুলে উঠত । বস্তুত জীবন তখন আমার সামনেই— পিছনে তার অতি অল্পই জীবনে যেটুকু গোচর ছিল তার চেয়ে অগোচরই ছিল অনেক বেশি । আমার তরুণ বয়সের অল্প কয়েকটি অতীত বৎসরকে গানের ধুয়াটির মত অবলম্বন করে সমস্ত অনাগত ভবিষ্যৎ তার উপরে অনিৰ্ব্বচনীয়ের তান লাগাতে থাকৃত । পথ তখন নির্দিষ্ট হয় নি । নানাদিকে তার শাখা প্রশাখা ! কোনদিক্ দিয়ে কোথায় যাব এবং কোথায় গেলে কি পাব তার তাধিকাংশই কল্পনার মধ্যে ছিল । এইজন্ত প্রতিবৎসর জন্মদিনে জীবনের সেই অনির্দেশু। অসীম প্রত্যাশায় চিত্ত বিশেষ ভাবে জাগ্রত হয়ে উঠত । ·ჯე%