পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন দিকে অর্থাৎ ভূমীর দিকে আকর্ষণ করে, যা মানুষকে বিনা কারণেই স্বতঃ প্রবৃত্ত হয়ে হঃখকে স্বীকার করতে, সুখকে বিসর্জন করতে প্রবৃত্ত করে—তাতেই কেবল জানিয়ে দিতে থাকে, সুখে স্বার্থে মানুষের স্থিতি নেই — তার থেকে নিষ্ক্রান্ত হবার জন্তে মানুষকে বন্ধনের পর বন্ধন ছেদন করতে হবে —মঙ্গলের সম্বন্ধে বিশ্বের সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে মানুষকে মুক্তিলাভ করতে হবে । এই স্বার্থের অt (রণ থেকে নিষ্ক্রান্ত হওয়াই হচ্চে স্বর্থ ও পরমার্থের সামঞ্জস্তাসাধন । কারণ স্বার্থের মধ্যে আবৃত থাকলেই তাকে সত্য রূপে পাওয়া যায় না । স্বার্থ থেকে যখন আমরা বহির্গত হই তপনই আমরা পরিপূর্ণরূপে স্বার্থকে লাভ করি। তখনই আমরা আপনাকে পাই বলেই অন্ত সমস্তকেই পাই । গর্ভের শিশু নিজেকে জানেন বলেই তার মাকে জানেনা—যখনি মাতার মধ্য হতে মুক্ত ૪ ૭ ૨