পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতৃশ্ৰাদ্ধ তুমি আমাদের পিতা । একথা যে নিতান্তই হাস্যকর প্রলাপবাক্য এবং স্পৰ্দ্ধার কথা হত যদি এ কেবলমাত্রই রূপক হত । কিন্তু মানুষ এক জায়গায় পিতামাতাকে বিশেয় ভাবে অনন্তের মধ্যে দেখেছে, এবং অনমন্তকে বিশেষ ভাবে পিতামাতার মধ্যে দেখেছে, সেই জন্তেই এমন দৃঢ় কণ্ঠে এতবড় অভিমানের সঙ্গে বলতে পেরেছে “পিতানোহসি ।” মানুষ পিতামাতার মধ্য থেকে যে অমৃতের ধারা লাভ করেছে সেইটেকে অমুসরণ করতে গিয়ে দেখেছে কোথাও তার সীমা নেই, দেখেছে যেখান থেকে স্থৰ্য্যনক্ষত্র তাদের নিঃশেষহীন আলোক পাচ্চে, জীবজন্তু যেখান থেকে অবসানহীন প্রাণের স্রোতে ভেসে চলে আজ পর্য্যস্ত কোনো শেষে গিয়ে পৌছল না, সেই জগতের অনাদি আদি প্রস্রবণ হতেই ঐ অমৃতধারা প্রবাহিত হয়ে আসচে ; অনন্ত ঐখানে আমাদের কাছে যেমনি ধরা পড়ে 있