পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন নিশ্চয় জেনে শুতে যাই যে, দিবসের আয়োজনটি যেখানে যেমনভাবে অtজ ছিল সমস্ত রাত্রির অন্ধকার ও অচেতনতার পরেও ঠিক তাকে সেই জায়গাতেই তেমনি করেই কাল পাওয়া যাবে। কেননা সৰ্ব্বত্র সামঞ্জস্ত আছে ; এই অতি প্রকা ও অপরিচিত জগৎকে আমরা এই বিশ্বাসেই প্রতিমুহূর্বে বিশ্বাস করি । অথচ এই সামঞ্জস্ত ত সহজ সামঞ্জস্ত নয়—এ ত মেষে ছাগে সামঞ্জস্ত নয়, এ যেন বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাওয়ানো ! এই জগৎক্ষেত্রে যে সব শক্তির লীলা তাদের যেমন প্রচণ্ডত তেমনি তাদের বিরুদ্ধতা— কেউ বা পিছনের দিকে টানে কেউ বা সামনের দিকে ঠেলে, কেউ বা গুটিয়ে আনে, কেউবা ছড়িয়ে ফেলে, কেউ বা বজ্ৰমুষ্টিতে সমস্তকে তাল পাকিয়ে নিরেট করে ফেলবার জন্যে চাপ দচ্চে, কেউবা তার চক্রযন্ত্রের প্রবল আবৰ্ত্তে 88