পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন খুব ভরপুর হয়ে উঠল । এখন আবার সকলে একেবারে উণ্টো সুর এই ধরলে যে, হৃদয়বৃত্তির চরিতার্থতাই মামুষের সিদ্ধির চরম পরিচয় । হৃদয়বৃত্তির অত্যন্ত উত্তেজনার যে সমস্ত দৈহিক ও মানসিক লক্ষণ আছে সাধনায় সেইগুলির প্রকাশই মামুষের কাছে একান্ত শ্রদ্ধালাভ করতে লীগল । এই অবস্থায় স্বভাবত মানুষ আপনার ভগবানকেও প্রমত্ত আকারে দেখতে লাগল । র্তার আর সমস্তকেই খৰ্ব্ব করে কেবলমাত্র তাকে হৃদয়tবেগ-চাঞ্চল্যের মধ্যেই এক স্ত করে উপলব্ধি করতে লাগল এবং সেই রকম উপলব্ধি থেকে যে একটি নিরতিশয় ভাববিহবলত জন্মায় সেইটেকেই উপাসনার পরাকাষ্ঠ বলে গণ্য করে নিলে । কিন্তু ভগবানকে এই রকম করে দেখাও তার সমগ্রত থেকে তাকে অবচ্ছিন্ন করে (? o