পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামঞ্জস্তা আকাশে অনাদি অনন্তকালে বিকীর্ণ পরিকীর্ণ চয়ে পড়চে, এবং এই অসংখ্য বহুধা শক্তি সীমাহীন দেশকালের মধ্য দিয়ে তোমার এই নিস্তব্ধ শান্তির মধ্যে এসে নিঃশব্দে প্রবেশ লাভ করচে । সকল শক্তি সকল কৰ্ম্ম সকল প্রকাশের আধার তোমার এই প্রবল বিপুল শাস্তি আমাদের এই নানা ক্ষুদ্রতায় চঞ্চল, বিবোধে বিচ্ছিন্ন, লিভীষিকায় ব্যাকুল দেশের উপরে নব নব ভক্তের বাণী ও সাধকের জীবনের ভিতর দিয়ে প্রত্যক্ষরূপে অবতীর্ণ হোক্ ! কৃষক যেখানে অলস এবং দুর্বল যেখানে সে পূর্ণ উদ্যমে তার ক্ষেত্র কর্ষণ করে ন, সেইখানেই শস্তের পরিবর্তে আগাছায় দেখতে দেথতে চারিদিক ভরে যায়—সেইথানেই বেড়া ঠিক থাকে না, আল নষ্ট হয়ে যায়, সেইখনেই ঋণের বোঝা ক্রমশই বেড়ে উঠে বিনাশের দিন দ্রুতবেগে এগিয়ে আসতে থাকে ;—আমাদের দেশেও তেমনি করে ११