পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন যে কৰ্ম্মে তার কোনো প্রয়োজনই নেই, যা তার জীবনযাত্রীর পক্ষে অবিস্তক নয় তাকে ও কেবলি সে তৈরি করে তুলচে । কেনন সে মুক্তি চায়। সে আপনার অন্তরাচ্ছাদন থেকে মুক্তি চায়,লে আপনার অরূপের আবরণ থেকে মুক্তি চায় । সে আপনাকে দেখতে চায়, পেতে চায় । ঝোপঝাড় কেটে সে যখন বাগান তৈরি করে তখন কুরূপ তার মধ্য থেকে সে যে সৌন্দর্য্যকে মুক্ত করে তোলে সে তার নিজেরই ভিতরকার সৌন্দৰ্য্য—বাইরে তাকে মুক্তি দিতে না পারলে অস্তুৱেও সে মুক্তি পায় না । সমাজের যথেচ্ছাচারের মধ্যে মুনিয়ম স্থাপন করে অকল্যাণের বtধার ভিতর থেকে যে কল্যাণকে সে মুক্তি দান করে, সে তারই নিজের ভিতরকার কল্যাণ -- বাইরে তাকে মুক্তি দিতে না পারলে অস্তরে ও সে মুক্তি লাভ করে না । এমনি করে মানুষ নিজের শক্তিকে, সৌন্দর্য্যকে, মঙ্গলকে, নিজের

  • *