পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন কি নিশ্বাস মানুষের মধ্যে আপনাকে উচ্ছসিত, আন্দোলিত, নব নব বৈচিত্র্যে বিস্তীর্ণ করে দিচ্চে ! যেখানে অতলম্পর্শ গভীরতার মধ্যে তার রহস্ত চিরকাল প্রচ্ছন্ন হয়ে রক্ষিত, সেখানে আমাদের প্রবেশ নেই, —আবার যেখানে দেশকালের মধ্যে তার প্রকাশ নিরস্তুর গর্জিত উন্মথিত হয়ে উঠচে সেখানেও সে কেবল লেশমাত্র আমাদের গোচরে অাছে, সমস্তটাকে এক সঙ্গে আমরা দেখতে পাচ্চিনে । কিন্তু এখানেই সে আছে, এখনি সে আছে, আমার হয়ে আছে ; তার সমস্ত অতীতকে আকর্ষণ করে’, তার সমস্ত ভবিষ্যৎকে বহন করে” সে আছে ; সেই অদৃষ্ঠ অথচ দৃপ্ত, সেই এক অথচ বহু, সেই বদ্ধ অথচ মুক্ত, সেই বিরাট মানবপ্রাণ তার পৃথিবীজোড়া ক্ষুধা তৃষ্ণ, নিশ্বাস প্রশ্বাস, শীত গ্রীষ্ম, হৃৎপিণ্ডের উখানপতন, শিরা-উপশিরায় রক্তস্রোতের জোয়ার ভাট (t &