পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন অথচ অশ্চির্য্যের বিময় এই যে, ঘরে বাহিরে তখন এই ব্রহ্মপাধনীর কথা চাপ ছিল। আমাদের দেশে তখন বন্ধকে পরম জ্ঞানীর অতি দর গহন জ্ঞানদুর্গের মধ্যে কারারুদ্ধ করে রেখেছিল ; চারিদিকে রাজত্ব করছিল আচার-বিচার-বাহ অনুষ্ঠান এবং ভক্তি-রস-মাদকতার বিচিত্র আয়োজন। সেদিন রামমোহন রায় যখন ব্রহ্মসাধনকে পুথির অন্ধকারসমাধি থেকে মুক্ত করে জীবনের ক্ষেত্রে এনে দাড় করালেন তপন দেশের লোক সবাই কুদ্ধ হয়ে বলে উঠ ল এ আমাদের আপন জিনিস নয়, এ আমাদের বাপ পিতামহের সামগ্রী নয়, বলে উঠ ল এ খুষ্টানি, একে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শক্তি যখন বিলুপ্ত হয়, জীবন যখন সঙ্কীর্ণ হয়ে আসে, জ্ঞান যখন গ্রাম্যগণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে কাল্পনিকতাকে নিয়ে যথেচ্ছ বিশ্বাসের অন্ধকার ঘরে স্বপ্ন দেগে আপনাকে লিফল করতে চায় Ꮌ Ꮌ 8