পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরনবীনতা একেবারে প্রথম সংখ্যা থেকেই আরম্ভ করে দিয়েছিল। সেই অতি প্রাচীন দিনই হস্তমুখে মাজ প্রভাতে আমাদের চোখের সামনে বীণাবাদক প্রিয়দর্শন বালকটির মত এসে দাড়িয়েছে । এ একেবারে নবীনতার মূৰ্ত্তি— সদ্যো জাত শিশুর মতই নবীন । এ যাকে স্পর্শ করে সেই তখনি নবীন হয়ে ওঠে – এ আপনার গলার হারটিতে চিরযৌবনের স্পর্শমণি ঝুলিয়ে এসেছে। এর মানে কি ? এর মানে হচ্চে এই, চিরনবীনতাই জগতের অস্তরের ধন, জগতের নিত্য সামগ্ৰী—পুরাতনতা, জীর্ণ তা তার উপর দিয়ে ছায়ার মত আসচে যাচ্চে, দেখা দিতে ন দিতেই মিলিয়ে যাচ্চে—এ’কে কোনোমতেই আচ্ছন্ন করতে পারচে না । জরা মিথ্যা, মৃত্যু মিথ্যা, ক্ষয় মিথ্যা, তারা মরীচিকার মত--জ্যোতিৰ্ম্ময় আকাশের উপরে তার ছায়ার নৃত্য নাচে এবং নাচতে নাচতে ు లిe