পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন আছি । মধ্যাহ্নে কাজ যখন অত্যন্ত উগ্র হয়ে উঠে তোমাকে প্রবল বেগে আকর্ষণ করে নিয়ে চলেছে, তখন মুহূর্তকালের জন্যে আপনাকে থামিয়ে এই কথাটি বোলে, “তুমি আছ, আমি তোমার মধ্যে আছি।’ এমনি করেই সকল সময়ে সকল দেখার মধ্যে সত্যকে দেখা সহজ হয়ে যাবে। প্রতিদিন উপাসনায় যখন তার কাছে বসবে মনকে বিমুখ হতে দিয়ে না । তিনি আছেন, তারই সামনে এসে বসেছি, এই সহজ কথাটি যেন এক মুহূর্তেই মন সহজ করে বলতে পারে— যেন এক নিমেষেই একেবারেই তোমার মাথা তার পায়ের কাছে এসে ঠেকে। প্রথম কিছুদিন মন চঞ্চল হতে পারে, কিন্তু প্রতিদিন বসতে বসতে ক্রমেই বসা সত্য হয়ে উঠবে— ক্রমেই র্তার কাছে পৌছতে আর দেরি হবে না। 〉ー)う。 শুচি প্রসঙ্গক্রমে আজ দ্বিপ্রহরে আমার একটি পবিত্র বাল্যস্মৃতি মনের মধ্যে জাগ্রত হয়ে উঠেছে। বালক-বয়সে যখন একটি খৃস্টান বিদ্যালয়ে আমি অধ্যয়ন করেছিলুম তখন একটি অধ্যাপককে দেখেছিলুম যার সঙ্গে আমার সেই অল্পকালের সংসৰ্গ আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে গেছে । শুনেছিলুম তিনি স্পেনদেশের একটি সন্ত্রাস্ত ধনীবংশীয় লোক, ভোগৈশ্বর্য সমস্ত পরিত্যাগ করে ধর্মসাধনায় তার জীবন উৎসর্গ করেছেন । তার পাণ্ডিত্যও অসাধারণ, কিন্তু তিনি তার মণ্ডলীর আদেশক্রমে এই দূর প্রবাসে এক বিদ্যালয়ে নিতান্ত নিম্ন শ্রেণীতে অধ্যাপনার কাজ করছেন । আমাদের ক্লাসে অল্প সময়েরই জন্য তাকে দেখতুম। ইংরাজি উচ্চারণ র্তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ছিল, সেজন্যে ক্লাসের ছেলেরা তার ২৭৬