পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুচি আমার স্বামী নেই— আমার স্বামীর সংসারকে কেবলই বঞ্চনা করে নিজের অংশকেই সকলের চেয়ে বড়ো করতে চাই— তখনই আমার জীবন আগাগোড় কলঙ্কে লিপ্ত হতে থাকে, তখন আমি অসতী । তখন আমি সত্যের ধন হরণ করে আসত্যের পূরণ করবার চেষ্টা করি। সে চেষ্ট চিরকালের মতো সফল হতেই পারে না ; ষা-কিছু কেবল আমার দিকেই টানব তা নষ্ট হবেই, তার বৃহৎ সফলতা স্থায়ী সফলতা হতেই পারে না— তার জন্যে ভয় ভাবনা এবং শোকের অস্ত নেই। অসত্যেব দ্বারা সত্যকে অঁাকড়ে রাখা কোনোমতেই চলে না । ভোগের ফুলের মাঝখানে একটি কীট অাছে, সে কীট আমি, এই অসত্য আমি — সে ফুলে ফল ধরে না । ভোগের তরণীর মাঝখানে একটি ছিদ্র আছে, সে ছিদ্র আমি, এই অসত্য আমি— এ তরণী অতৃপ্তিদুঃখের সমুদ্র কখনোই পার হতে পারে না, পথের মধ্যেই সে ডুবিয়ে দেয় । সেইজন্যে শুচিতার সাধনা র্যারা করেন ভোগের আকাজক্ষাকে তারা প্রশ্রয় দেন না ; কেননা এই স্বামিবিমুখ আমির উপকরণ যতই জোগাতে থাকি ততইসে উন্মত্ত হয়ে উঠতে থাকে,ততই তার অতৃপ্তিই তীক্ষঅঙ্কুশাঘাত করে তাকে প্রলয়ের পথে দৌড় করাতে থাকে। এইজন্তে পৃথিবীর সর্বত্রই উচ্চসাধনার একটা প্রধান অঙ্গ ভোগকে খর্ব করা,মুখের ইচ্ছাকে পরিমিত করা। অর্থাৎ, এমন করে চলা যাতে নিজেরদিকেই সমস্ত বোঝা বাড়তে বাড়তে সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে সেই দিকটাতেই কাত হয়ে না পড়ি । কিন্তু, আমি র্যার কথা বলছি তিনি ধনমান ত্যাগ করে বৈরাগ্য অবলম্বন করেছেন বলেই যে আমার কাছে এমন মনোহর হয়ে উঠেছিলেন তা নয়। র্তার মুখ দেখেই বোঝা যেত, যেখানে তিনি সত্য সেইখানেই তার মনটি প্রতিষ্ঠিত। তার প্রভুর সঙ্গে মিলনের দ্বারা সর্বদ

ዓ>