পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশেষত্ব ও বিশ্ব ভোর হয়ে ওঠেন তখন তিনি সেই আনন্দকে বিশ্বের আনন্দ করতে চান। তা করতে গেলেই আর নিজের খেয়ালমতো চলতে পারেন না। তখন তাকে এমন ভাষা অপ্রিয় করতে হয় যা সকলের ভাষা, য! র্তার খেয়ালমতো একেবারে উণ্টোপাণ্টা হয়ে চলে না। তাকে এমন ছন্দ মানতেই হয় যে ছন্দে সকলের শ্রবণ পরিতৃপ্ত হয় । তিনি বলতে পারেন না ‘আমার খুশি আমি ছন্দকে যেমন-তেমন করে চালাব’ । ভাগ্যে এমন ভাষা আছে যা সকলের ভাষা, ভাগ্যে ছন্দের এমন নিয়ম আছে যাতে সকলের কানে মিষ্ট লাগে, সেইজন্যেই কবির বিশেষ আনন্দ আপনাকে বিশ্বের আনন্দ করে তুলতে পারে। এই বিশ্বের ভাষা বিশ্বের নিয়মকে মানতে গেলে দুঃখ আছে, কেননা সে তোমাকে খাতির করে চলে না— কিন্তু, এই দুঃখকে কবি আনন্দে স্বীকার করে। সৌন্দর্যের যে নিয়ম বিশ্বনিয়ম তাকে সে নিজের রচনার মধ্যে কোথাও লেশমাত্র ক্ষুন্ন করতে চায় ন— একটুও শৈথিল্য তার পক্ষে অসহ । কবি যতই বড়ো হবে, অর্থাৎ তার বিশেষত্ব যতই মহৎ হবে, ততই বিশ্বনিয়মের সমস্ত শাসন সে স্বীকার করবে— কারণ, এই বিশ্বকে স্বীকার করার দ্বারাই তার বিশেষত্ব সার্থক হয়ে ওঠে। মানুষের মহত্ত্বই হচ্ছে এইখানে ; সে আপনার বিশেষত্বকে বিশ্বের সামগ্রী করে তুলতে পারে— এবং তাতেই তার সকলের চেয়ে বড়ো আনন্দ । মানুষের আমির সঙ্গে বিশ্বের সঙ্গে মেলবার পথ বড়ো রকম করে আছে বলেই মানুষের দুঃখ এবং তাতেই মানুষের আনন্দ } বিশ্বের সঙ্গে পশুর যোগ নিজের খাওয়া-শোওয়ার সম্বন্ধে— এই প্রয়োজনের তাড়নাতেই পশুকে আপনার বাইরে যেতে হয়, এই ঃখের ভিতর দিয়েই সে স্থখ লাভ করে। মানুষের সঙ্গে পশুর একটা ՀԵ (t