পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** յ Կ d J r l | i. ", t f i. মস্ত প্রভেদ হচ্ছে এই, মানুষ যেমন বিশ্বের কাছ থেকে নানা রকম করে নেয় তেমনি মানুষ আপনাকে বিশ্বের কাছে নানা রকমে দেয় । তার সৌন্দর্যবোধ, তার কল্যাণচেষ্টা কেবলই স্বষ্টি করতে চায়— তা না করতে পেলেই সে পঙ্গু হয়ে খর্ব হয়ে যায়। নিতে গেলেও তার নেবার ক্ষেত্র বিশ্ব, দিতে গেলেও তার দেবার ক্ষেত্র বিশ্ব । এ কথা যখন সত্য তখন তুমি যদি রল বিশ্বপ্রকৃতি আমার ব্যক্তিগত বিশেষত্বকে মেনে চলে না বলে আমার দুঃখবোধ হচ্ছে তখন তোমাকে বুঝে দেখতে হবে, মেনে চলে না বলেই তোমার আনন্দ । বিশেষকে মানে না বলেই সে বিশ্ব, এবং সে বিশ্ব বলেই বিশেষের তাতে প্রতিষ্ঠা । দুঃখের একান্ত অভাব যদি ঘটত, অর্থাৎ যদি কোথাও কোনো নিয়ম না থাকত, বাধা না থাকত, কেবল আমার ইচ্ছাই থাকত, তা হলে আমার ইচ্ছাও থাকত না ; সে অবস্থায় কিছু থাকা না-থাকা একেবারে সমান। অতএব তুমি যখন মাঠে বেড়াচ্ছিলে তখন ঝড়বৃষ্টি যে তোমাকে কিছুমাত্র মানে নি এ কথাকে যদি বড়ো করে দেখি তা হলে এর মধ্যে কোনো ক্ষোভের কারণ দেখি নে। তা হলে এইটেই দেখতে পাই : ভয়াদস্তাগ্নিস্তপতি,ভয়াত্তপতি স্থধ্য,ভয়াদিন্দ্রশ্চ বায়ুশ্চ মৃত্যুধাবতিপঞ্চমঃ। তারই অটল নিয়মে অগ্নি ও স্বৰ্ষ তাপ দিচ্ছে এবং মেঘ বায়ু ও মৃত্যু ধাবিত হচ্ছে । তারা সহস্রের ইচ্ছার দ্বারা তাড়িত নয়, একের শাসনে চালিত। এইজন্যেই তারা সত্য, তারা সুন্দর ; এইজন্যেই তাদের মধ্যেই আমার মঙ্গল ; এইজন্যেই তাদের সঙ্গে আমার যোগ সম্ভব ; এইজন্তেই তাদের কাছ থেকে আমি পাই এবং তাদের মধ্যে আমি আপনাকে দিতে পারি। l הצפיצ واسbج