পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন অসহায় করে মায়ের কোলে যাকে পাঠালেন সেই যে সকলের চেয়ে শক্তিশালী ও সম্পূর্ণ হবার অধিকারী, এই লীলাই তো তিনি দেখাবেন। কিন্তু, আমরা কি তার এই ইচ্ছাকে ব্যর্থ করব ? তিনি বাইরে আমাদের ষে দুর্বলতার বেশ পরিয়ে পাঠিয়েছেন তারই মধ্যে আমরা আবৃত থাকব, এ হলে আর কী হল ? এ পৃথিবীতে তো কোথাও দুর্বলতা নেই— এই পৃথিবীর ভূমি কী নিশ্চল অটল ! স্বর্ধচন্দ্র গ্রহনক্ষত্র আপন আপন কক্ষপথে কী স্থিরভাবে প্রতিষ্ঠিত— এখানে একটি অণুপরমাণুরও নড়চড় হবার জো নেই, সমস্তই তার অটল শাসনে তার স্থির নিয়মে বিধৃত হয়ে নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছে। কেবল মানুষকেই তিনি অসম্পূর্ণ করে রেখেছেন। তিনি ময়ুরকে নানা বিচিত্র রঙে রঙিয়ে দিয়েছেন, মানুষকে দেন নি— তার ভিতরে রঙের একটি বাটি দিয়ে বলেছেন, “তোমাকে তোমার নিজের রঙে সাজতে হবে ।’ তিনি বলেছেন, ‘তোমার মধ্যে সবই দিলুম, কিন্তু তোমাকে সেই-সব উপকরণ দিয়েনিজেকে কঠিন করে, স্বন্দর করে, আশ্চর্য করে তৈরি করে তুলতে হবে— আমি তোমাকে তৈরি করে দেব না। আমরা তা না করে যদি যেমন জন্মাই তেমনিই মরি, তবে তার এই লীলা কি ব্যর্থ হবে না ? কী নিয়ে আমাদের দিনের পর দিন যাচ্ছে ? প্রতি দিনের আবর্তনে কী জন্যে যে ঘুরে মরছি তার কোনো ঠিকানাই নেই। আজ যা হচ্ছে কালও তাই হচ্ছে— এক দিনের পর কেবল আর-এক দিনের পুনরাবৃত্তি চলছে— ঘানিতে জোতা হয়ে আছি, ঘুরে বেড়াচ্ছি একই জায়গায়। এর মধ্যে এমন কোনো নতুন আঘাত পাচ্ছি না যাতে মনে পড়ে আমি মাহুষ । এই সাংসারিক জীবনযাত্রার প্রাত্যহিক অভ্যস্ত কর্মে আমরা কী পাচ্ছি ? আমরা কী জড়ো করছি ? এই-সব \3e Ré