পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাক্টর অধিকার মধ্যে দেখে নিতে হবে। বিশ্বের বিধাতা হয়েও তুমি আমার পিতা— পিতা নোহসি— এত বড়ো কথা একদিন সমস্ত বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মাঝখানে দাড়িয়ে জানাতেই হবে । আজ ধনমান খ্যাতিপ্রতিপত্তির কাছে প্ৰণাম নয়, প্রতিদিন সেইখানে মাথা লুটিয়েছি এবং সেই ধূলিজঞ্জালের নীচে কোন তলায় তলিয়ে গিয়েছি। আজ সমস্ত জঞ্জাল দূর করে দিয়ে যিনি আমার দরজায় যুগ যুগ ধরে দাড়িয়ে রয়েছেন তাকে ডাকব — পিতা নোহসি । তুমি আমার পিতা। যেদিন তাকে ডাকব, তাকে ঘরে নিয়ে আসব, সেদিন সব ধনমান সার্থক হবে ; সেদিন কোনো অভাবই আর অভাব থাকবে না । মানুষ একদিন ভেবেছিল সে স্বগে যাবে । সেই চিন্তায় সে তীর্থে তীর্থে ঘুরেছে, সে ব্রাহ্মণের পদধূলি নিয়েছে, সে কত ব্ৰত অনুষ্ঠান করেছে— কী করলে সে স্বৰ্গলোকের অধিকারী হতে পারে এই কথাই তার মনে জেগেছে। কিন্তু, স্বর্গ তো কোথাও নেই । তিনি তো স্বর্গ কোথাও রাখেন নি। তিনি মানুষকে বলেছেন, “তোমাকে স্বর্গ তৈরি করতে হবে । এই সংসারকেই তোমায় স্বর্গ করতে হবে।’ ংসারে তাকে আনলেই যে সংসার স্বর্গ হয়। এতদিন মানুষ এ কোন শূন্যতার ধ্যান করেছে ? সে সংসারকে ত্যাগ করে কেবলই দূরে দূরে গিয়ে নিফল আচারবিচারের মধ্যে এ কোন স্বৰ্গকে চেয়েছে ? তার ঘর-ভরা শিশু, তার মাবাপ ভাইবন্ধু আত্মীয়প্রতিবেশী— এদের সকলকে নিয়ে নিজের সমস্ত জীবনখানি দিয়ে ষে তাকে স্বৰ্গ তৈরি করতে হবে । কিন্তু, সে স্বষ্টি কি একলা হবে ? না, তিনি বলেছেন, ‘তোমাতে আমাতে মিলে স্বর্গ করর— আর-সব আমি একলা করেছি, কিন্তু তোমার জন্যেই আমার স্বৰ্গস্থষ্টি অসমাপ্ত ??ہ بتا