পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন রয়ে গেছে । তোমার ভক্তি তোমার আত্মনিবেদনের অপেক্ষায় এত বড়ো একটা চরম স্বষ্টি হতে পারে নি। সর্বশক্তিমান এই জায়গায় র্তার শক্তিকে খর্ব করেছেন, এক জায়গায় তিনি হার মেনেছেন । যতক্ষণ পর্যস্ত না তার সকলের চেয়ে দুর্বল সস্তান তার সব উপকরণ হাতে করে নিয়ে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বৰ্গরচনাই অসম্পূর্ণ রইল। এইজন্যে যে তিনি যুগযুগান্ত ধরে অপেক্ষা করছেন। তিনি কি এই পৃথিবীর জন্যেই কত কাল ধরে অপেক্ষা করেন নি ? আজ যে এই পৃথিবী এমন সুন্দরী এমন শস্যশ্রামলা হয়েছে—কত বাস্পদহনের ভিতর দিয়ে ক্রমশ শীতল হয়ে তরল হয়ে তার পরে ক্রমে ক্রমে এই পৃথিবী কঠিন হয়ে উঠেছে, তখন তার বক্ষে এমন আশ্চর্য শু্যামলতা দেখা দিয়েছে। পৃথিবী যুগ যুগ ধরে তৈরি হয়েছে, কিন্তু স্বর্গ এখনও বাকি । বাষ্প-আকারে যখন পৃথিবী ছিল তখন তো এমন সৌন্দর্য ফোটে নি। আজ নীলাকাশের নীচে পৃথিবীর কী অপরূপ সৌন্দর্য দেখা দিয়েছে ! ঠিক তেমনি স্বৰ্গলোক বাষ্প-আকারে আমাদের হৃদয়ের ভিতরে ভিতরে রয়েছে, তা আজও দানা বেঁধে ওঠে নি। র্তার সেই রচনাকার্যে তিনি আমাদের সঙ্গে বসে গিয়েছেন, কিন্তু আমরা কেবল খাব’ ‘পরব’ সঞ্চয় করব? এই বলে বলে সমস্ত ভুলে বসে রইলুম। তবু এ ভুল তো ভাঙবে, মরবার আগে একদিন তো বলতে হবে, এই পৃথিবীতে এই জীবনে আমি স্বর্গের একটুখানি আভাস রেখে গেলেম । কিছু মঙ্গল রেখে গেলেম। অনেক অপরাধ স্ত,পাকার হয়েছে, অনেক সময় ব্যর্থ করেছি, তবু ক্ষণে ক্ষণে একটু সৌন্দর্য ফুটেছিল। জগৎসংসারকে কি একেবারেই বঞ্চিত করে গেলেম ? অভাবকে তো কিছু পূরণ করেছি, কিছু অজ্ঞান দূর করেছি— এই কথাটি তো বলে যেতে হবে। এ দিন \రి e