পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটো ও বড়ো যারা আমাদের দলের নামটুকু ধারণ না করেছে তারা ঈশ্বরের ত্যাজ্যপুত্ররূপে কল্যাণের অধিকার হতে বঞ্চিত। মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়েই এই কথা বলেছে— এই সংসার বিধাতার প্রবঞ্চন, মানবজন্মটাই পাপ, আমরা ভারবাহী বলদের মতো হয় কোনো পূর্বপিতামহের নয় নিজের জন্মজন্মান্তরের পাপের বোঝা বহে নিয়ে অস্তহীন পথে চলেছি । ধর্মের নামেই অকারণ ভয়ে মানুষ পীড়িত হয়েছে এবং অদ্ভুত মূঢ়তায় আপনাকে ইচ্ছাপূর্বক অন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু, তবু এই-সমস্ত বিকৃতি ও ব্যর্থতার ভিতর দিয়েও ধর্মের সত্যরূপ নিত্যরূপ ব্যক্ত হয়ে উঠছে। বিদ্রোহী মানুষ সমূলে তাকে ছেদন করবার চেষ্টা করে কেবল তার বাধাগুলিকেই ছেদন করছে । অবশেষে এই কথা মানুষের উপলব্ধি করবার সময় এসেছে যে, অসীমের আরাধনা মহন্তত্বের কোনো অঙ্গের উচ্ছেদ-সাধন নয়, মহন্তত্বের পরিপূর্ণ পরিণতি । অনন্তকে একই কালে এক দিকে আনন্দের দ্বারা অন্য দিকে তপস্যার দ্বারা উপলব্ধি করতে হবে ; কেবলই রসে মজে থাকতে হবে না, জ্ঞানে বুঝতে হবে, কর্মে পেতে হবে ; তাকে আমার মধ্যে যেমন আনতে হবে তেমনি আমার শক্তিকে তার মধ্যে প্রেরণ করতে হবে । সেই অনন্তস্বরূপের সম্বন্ধে মানুষ এক দিকে বলেছে আনন্দ হতেই তিনি ধা-কিছু সমস্ত স্বষ্টি করছেন, আবার আর-এক দিকে বলেছে : স তপোহতপাত । তিনি তপস্যা দ্বারা যা-কিছু সমস্ত স্বষ্টি করছেন। এ দুই’ই একই কালে সত্য । তিনি আনন্দ হতে স্বষ্টিকে উৎসারিত করছেন, তিনি তপস্যা দ্বারা স্বষ্টিকে কালের ক্ষেত্রে প্রসারিত করে নিয়ে চলেছেন। একই কালে তাকে তার সেই আনন্দ এবং তার সেই প্রকাশের দিক থেকে গ্রহণ না করলে আমরা চাদ ধরছি কল্পনা করে কেবল \${S