পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন আকাশ ধরবার চেষ্টা করব । বহুকাল পূর্বে একবার বৈরাগীর মুখে গান শুনেছিলুম— আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মাহুষ য়ে রে ! সে আরও গেয়েছিল— আমার , মনের মানুষ যেখানে । আমি কোন সন্ধানে যাই সেখানে ! তার এই গানের কথাগুলি আজ পর্যন্ত আমার মনের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । যখন শুনেছি তখন এই গানটিকে মনের মধ্যে কোনে} স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করেছি তা নয়, কিম্বা এ কথা আমার জানবার প্রয়োজন-বোধ হয় নি যে যারা গাচ্ছে তারা সাম্প্রদায়িক ভাবে এর ঠিক কী অর্থ বোঝে। কেননা, অনেক সময়ে দেখা যায় মানুষ সত্যভাবে বে কথাটা বলে মিথ্যাভাবে সে কথাটা বোঝে । কিন্তু, এ কথা ঠিক যে এই গানের মধ্যে মামুষের একটি গভীর অস্তরের কথা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। মানুষের মনের মানুষ তিনিই তো, নইলে মানুষ কার জোরে মানুষ হয়ে উঠছে ? ইহুদিদের পুরাণে বলেছে, ঈশ্বর মানুষকে আপনার প্রতিরূপ করে গড়েছেন । স্কুল বাহ ভাবে এ কথার মানে যেমনই হোক, গভীর ভারে এ কথা সত্য বইকি । তিনি ভিতর থেকে আপনাকে দিয়েই তো মাহুষকে তৈরি করে তুলছেন। সেইজন্তে মাহুষ আপনার সব-কিছুর মধ্যে আপনার চেয়ে বড়ো একটি-কাকে অনুভব করছে । সেইজন্যেই ওই বাউলের দলই বলেছে— . o " . . . খাচার মধ্যে অচিন পাখি . శిఖీ