পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> や 闘 সৌন্দর্যের সকরুণতা প্রভাতের পূর্বগগনে আলোকের প্রথম বিকাশ যেমন মধুর, মানুষের জীবনের প্রথম প্রত্যুষের অরুণরেখা যেদিন জেগে ওঠে সেদিন শিশুর কণ্ঠে তার সংগীত তেমনি মধুর, তেমনি নির্মল । সমস্ত মাহুষের জীবনের আরম্ভে এই মধুর স্বরের উদবোধন লোকালয়ে ঘরে ঘরে দেখতে পাই । জীবনের সেই নির্মল সৌন্দর্যের ভূমিকাটি কেমন সুন্দর । জগৎসংসারে তাই যত মলিনতা থাক্, জরার দ্বারা মানুষ যেমনই আচ্ছন্ন হোক-না কেন, ঘরে ঘরে মনুষ্যত্ব নতুন হয়ে জন্মগ্রহণ করছে। আজ শিশুদের কণ্ঠে জীবনের সেই উদবোধনসংগীতের প্রথম কলকাকলি শুনতে পাচ্ছি। এ উদবোধন কে প্রেরণ করলেন ? যিনি জীবনের অধীশ্বর তিনিই ঘরে ঘরে এই জাগরণের গীত পাঠিয়েছেন। আজ চিত্ত সেই গানে জাগ্রত হোক । কিন্তু, এই উৎসবের সংগীতের মধ্যে একটি করুণ সুর, একটি কান্না রয়েছে— সকালের প্রভাতী রাগিণীর সেই কান্না বুকের মধ্যে শিরা নিংড়ে নিংড়ে বাজছে। আনন্দের স্বরের মধ্যে করুণার কোমল নিখাদ বাজছে । সে কিসের করুণা ? পিতা ডাক দিয়েছেন, কিন্তু সকলের সময় হয়ে ওঠে নি। জাগে নি সবাই। অনন্ত শূন্যে প্রভাত-আলোকের ভৈরবীর স্বর করুণা বিস্তার করে যুগ হতে যুগে ধ্বনিত হচ্ছে— তিনি উৎসবক্ষেত্রে Yo©ፃ ३३