পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতের পুত্র তুমি নাও, সমস্ত জীবনের অসাড়তা অচৈতন্য দূর হোক, তুমি নিজের হাতে জাগাও— তুমি আপনি জাগাও মোরে তব স্থধাপরশে । ১১ মাঘ ১৩২১ অমৃতের পুত্র অমৃত-উৎসের ধারে মানুষকে একবার করে আসতে হবে এবং আপনাকে নতুন করে নিতে হবে । জীবনের তত্ত্বই হচ্ছে মরণের ভিতর দিয়ে নতুনকে কেবলই প্রকাশ করা । সংসারের মধ্যে জরা সব জীর্ণ করছে, যা-কিছু নতুন তার উপর সে তার তপ্ত হাতের কালিমা বোলাচ্ছে— তাই দেখতে দেখতে নির্মল ললাটে বলির রেখা পড়ে, সকল কর্মে ক্লাস্তি ও অবসাদ কেবলই জমে ওঠে । এই জরার আক্রমণে আমরা প্রতিদিন পুরাতন হয়ে যাচ্ছি। সেইজন্য মানুষ নানা উপলক্ষ্য করে একটি জিনিসকে কেবলই প্রকাশ করতে চায়, সে জিনিসটি তার চিরযৌবন । জরাদৈত্য যে তার সব রক্ত শোষণ করেছে সে এ কথা মানতে চায় না । সে জানে যে তার অস্তরের চিরনবীন চিরযৌবনের ভাণ্ডারে অমৃত পরিপূর্ণ— সেই কথাটি ঘোষণা করবার জন্তই মানুষের উৎসব। মানুষ দেখতে পেয়েছে যে সংসারের সঞ্চয় প্রতিদিন ক্ষয় হয়ে যায়। যতই ভয় ভাবনা করি, যতই আগলে আগলে রাখি, কাল সমস্তই নষ্ট করবে— নবীন সৌন্দর্য কোথাও রাখবে না। সংসার যে বৃদ্ধকে তৈরি করছে। সে আরম্ভ করে নবীন শিশুকে নিয়ে, তার পরে ○8〉