পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতের পুত্র বলবার আরম্ভে সম্বোধনেই আমাদের কী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন,তোমরা দিব্যধামবাসী অমৃতের পুত্ৰ— তোমরা সংসারবাসী মৃত্যুর পুত্র নও। জগতের মৃত্যুর বঁাশির ভিতর দিয়ে এই অমৃতের সংগীত যে প্রচারিত হচ্ছে, এ সংগীত তো পশুরা শুনতে পায় না ; তারা খেয়েদেয়ে ধুলোয় কাদায় লুটিয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে। অমৃতের সংগীত যে তোমরাই শোনবার অধিকারী। কেন ? তোমরা যে মৃত্যুর অধীন নও, তোমরা মৃত্যুর একটানা পথেই চলছ না— শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা: আ যে ধামানি দিব্যানি তস্থঃ । তোমরা যে ধামে রয়েছ, যে লোকে বাস করছ, সে কোন লোক ? তোমরা কি এই পৃথিবীর ধুলোমাটিতেই রয়েছ, যেখানে সমস্ত জীর্ণ হয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে ? না, তোমরা দিব্যলোকে বাস করছ, অমৃতলোকে বাস করছ।” এই কথা মৃত্যুর মাঝখানে দাড়িয়ে মানুষ বলছে, সমস্ত সাক্ষ্যকে অস্বীকার করে মানুষ বলছে । এ কথা সে মরতে মরতে বলছে । এই মাটির উপর মাটির জীবের সঙ্গে বাস করে বলছে, ‘তোমরা এই মাটিতে বাস করছ না, তোমরা দিব্যধামে বাস করছ।” সেই দিব্যধামের আলো কোথা থেকে আসে ? তমস: পরস্তাৎ । তমসার পরপার থেকে আসে। এই মৃত্যুর অন্ধকার সত্য নয় ; সত্য সেই জ্যোতি যা যুগে যুগে মোহের অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে আসছে। যুগে যুগে মানুষ অজ্ঞানের ভিতর থেকে জ্ঞানকে পাচ্ছে, যুগে যুগে মানুষ পাপকে মলিনতাকে বিদীর্ণ করে পুণ্যকে আহরণ করছে। বিরোধের ভিতর দিয়ে সত্যকে পাচ্ছে, এ ছাড়া সত্যকে পাবার আর ס\8ס\