পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রীর উৎসব করেছে, বিরুদ্ধতা করেছে, কিন্তু তুমি তার দক্ষিণ হাত ছাড় নি। তুমি সঙ্গে সঙ্গে চলেছ ; তুমি তাকে উত্তীর্ণ করে দিয়েছ সেই অনস্ত মনুষ্যত্বের বিরাট রাজপথে, সেখানে সমস্ত যাত্রীর দল চিরজীবনের তীর্থে চলেছে । ইতিহাসের সেই প্রশস্ত রাজপথে কী আনন্দ-কোলাহল, কী জয়ধ্বনি ! সেই তে উৎসবের আনন্দধ্বনি । তুমি বদ্ধ কর নি, তুমি বদ্ধ হতে দেবে না। তুমি কোনো মতের মধ্যে, প্রথার মধ্যে মাহুষকে নজরবন্দি করে রাখবে না। তুমি বলেছ, মাভৈঃ ! যাত্রীর দল বেরিয়ে পড়ে । কেন ভয় নেই? কিসে নির্ভয় ? তুমি ষে সঙ্গে সঙ্গে চলছ । তাই তো যে চলছে সে কেবলই তোমাকে পাচ্ছে । যে চলছে না সে আপনাকেই পাচ্ছে, আপনার সম্প্রদায়কেই পাচ্ছে । অনস্তকাল যিনি আকাশে পথ দেখিয়ে চলেছেন তিনি কবে চলবে ব’লে কারও জন্তে অপেক্ষা করবেন না । যে বসে রয়েছে সে কি দেখতে পাচ্ছে না তার বন্ধন ? সে কি জানে না যে এই বন্ধন না খুলে ফেললে সে মুক্ত হবে না, সে সত্যকে পাবে না ? সত্যকে বেঁধেছি, সত্যকে সম্প্রদায়ের কারাগারে বন্দী করেছি, এমন কথা কে বলে ! অনন্ত সত্যকে বন্দী করবে ! তুমি যত বড়ো মুগ্ধ হও-না কেন, তোমার মোহ অন্ধকারের জাল বুনিয়ে বুনিয়ে অনস্ত সত্যকে ঘিরে ফেলবে এত বড়ো স্পর্ধার কথা কোন সম্প্রদায় উচ্চারণ করতে পারে! সত্যকে হাজার হাজার বৎসর ধরে বেঁধে আচল করে রেখে দিয়েছি, এই বলে আমরা গৌরব করে থাকি । সত্যকে পথ চলতে বাধা দিয়েছি ; তাকে বলেছি, তোমার আসন এইটুকুর মধ্যে, এর বাহিরে নয়। তুমি গণ্ডি ডিঙিয়ে না, তুমি সমুদ্র পেরিয়ে না। সত্যের অভিভাবক আমি, আমি তাকে মিথ্যার বেড়ার মধ্যে খাড় দাড় করিয়ে রাখব, মুগ্ধদের Ψ96: Ο כ\3