পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * _ f 3. পারছি। বুঝতে পারছি এই সত্য. সকলের মধ্যে থেকেই সকলকে অতিক্রম করে আছে বলে বিশ্বসংসার কেবলই চলার দ্বারাই সত্য হয়ে উঠছে। এইজন্য জগতে স্থিরত্বই হচ্ছে বিনাশ– কেননা, স্থিরত্বই হচ্ছে সীমায় ঠেকে যাওয়া । এইজন্তেই বলা হয়েছে : যদিদং কিঞ্চ জগৎ সর্বং প্রাণ এজতি নিঃস্থতম্। এই যা-কিছু সমস্তই প্রাণ হতে নিঃস্থত হয়ে প্রাণেই কম্পিত হচ্ছে । তবে কি সমস্তই প্রাণ, আর অপ্রাণ কোথাও নেই ? অপ্রাণ আছে, কেননা দ্বন্দ্ব ছাড়া স্বষ্টি হয় না। কিন্তু, সেই অপ্রাণের দ্বারা স্বাক্টর পরিচয় নয়। প্রাণটাই হল মুখ্য, অপ্রাণটা গৌণ । আমরা চলবার সময় যখন পা ফেলি তখন প্রত্যেক পা ফেলা একটা বাধায় ঠেকে, কিন্তু চলার পরিচয় সেই বাধায় ঠেকে যাওয়ার দ্বারা নয়, বাধা পেরিয়ে যাওয়ার দ্বারা। নিখিল সত্যেরও এক দিকে বাধা, আরএক দিকে বাধামোচন। সেই বাধামোচনের দিকেই তার পরিচয় ; সেই দিকেই সে প্রাণস্বরূপ ; সেই দিকেই সে সমস্তকে মেলাচ্ছে এবং চালাচ্ছে । , * যেদিন এই কথাটি আমরা ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পেরেছি সেদিন আমাদের ভয়ের দিন নয়, ভিক্ষার দিন নয় ; সেদিন কোনো উচ্ছম্বল দেবতাকে অদ্ভুত উপায়ে বশ করবার দিন নয়। সেদিন বিশ্বের সত্যকে আমারও সত্য বলে আনন্দিত হবার দিন । সেদিন পূজারও দিন বটে। কিন্তু, সত্যের পূজা তো কথার পূজা নয় । কথায় ভুলিয়ে সত্যের কাছে তো বর পাবার জো নেই। সত্য প্রাণময়, তাই প্রাণের মধ্যেই সত্যের পূজা । আমরা প্রত্যক্ষ দেখেছি মানুষ সত্যের বর পাচ্ছে, তার দৈন্ত দূর হচ্ছে, তার তেজ রেড়ে ^\రీN