পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন সীমাকে পেরিয়ে পেরিয়ে চলতে থাকে, কোনো সীমায় এসে সে একেবারে ঠেকে যায় না। সত্যের এই নিরস্তর প্রকাশের মধ্যে আত্মদান করে অনন্ত আপনাকেই জানছেন– এইজন্যই মন্ত্রের এক প্রাস্তে ‘সত্যং’, আর-এক প্রাস্তে ‘অনন্তং ব্ৰহ্ম’, তারই মাঝখানে ‘জ্ঞানং’ । এই কথাটিকে বাক্যে বলতে গেলেই স্বতোবিরোধ এসে পড়ে, কিন্তু সে বিরোধ কেবল বাক্যেরই । আমরা যাকে ভাষায় বলি সীমা, সেই সীমা ঐকান্তিকরূপে কোথাও নেই ; তাই সীমা কেবলই অসীমে মিলিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। আমরা যাকে ভাষায় বলি অসীম সেই অসীমও ঐকান্তিক ভাবে কোথাও নেই ; তাই অসীম কেবলই সীমায় রূপগ্রহণ করে প্রকাশিত হচ্ছেন । সত্যও অসীমকে বর্জন করে সীমায় নিশ্চল হয়ে নেই, অসীমও সত্যকে বর্জন করে শূন্ত হয়ে বিরাজ করছেন না। এইজন্য ব্রহ্ম, সীমা এবং সীমাহীনতা দুইয়েরই অতীত ; তার মধ্যে রূপ এবং অরূপ দুইই সংগত হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে ‘বলদা, তার বল র্তার শক্তি বিশ্বসত্যরূপে প্রকাশিত হচ্ছে ; আবার ‘আত্মদা, সেই সত্যের সঙ্গে সেই শক্তির সঙ্গে তার আপনার বিচ্ছেদ ঘটে নি— সেই শক্তির যোগেই তিনি আপনাকে দিচ্ছেন— এমনি করেই সসীম অসীমের, অরূপ সরূপের অপরূপ মিলন ঘটে গেছে— ‘সত্যং এবং অনন্তং অনির্বচনীয়রূপে পরস্পরের যোগে একই কালে প্রকাশমান হচ্ছে । তাই অসীমের আনন্দ সসীমের অভিমুখে, সসীমের আনন্দ অসীমের অভিমুখে । তাই ভক্ত ও ভগবানের আনন্দমিলনের মধ্যে আমরা সসীম ও অসীমের এই বিশ্বব্যাপী প্রেমলীলার চিররহস্তটিকে ছোটোর মধ্যে দেখতে পাই । এই রহস্তটি রবি চন্দ্র তারার পর্দার আড়ালে নিত্যকাল চলেছে ; এই \ጋግ8