পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষেত্রে বোন হয়ে যাবে। যে পুণ্য হোমাগ্নি বিশ্বের যজ্ঞশালায় চিরদিন জলছে তাতে যদি ঠিকমতো করে একবার আমাদের চিত্তপ্রদীপের মুখটুকু ঠেকিয়ে দিতে পারি তা হলে সেই মুহূর্তেই আমাদের শিখাটুকু ধরে উঠতে পারে। সত্যের মধ্যে আজ আমাদের জাগরণ সম্পূর্ণ হোক, এই প্রভাতের আলোক আজ আমাদের আবরণ না হোক, আজ চিরজ্যোতি প্রকাশিত হোন, ধরণীর শু্যামল যবনিক আজ যেন কিছু গোপন না করে— আজ চিরস্থদের দেখা দিন । শিশু যেমন মাকে সম্পূর্ণভাবে আলিঙ্গন করে তেমনি করেই আজ সেই পরমচৈতন্তের সঙ্গে আমাদের চৈতন্তের মিলন হোক। যেমন কবির কাব্য পাঠ করবার সময় তার ছন্দ ও ভাষার ভিতর দিয়ে কবির অানদের মধ্যে গিয়ে আমাদের চিত্ত উপনীত হয় তেমনি করে আজ এই শিশিরহ্মানে স্নিগ্ধ নির্মল বিশ্বশোভার অস্তরের সেই বিশ্বের আনন্দকে যেন সমস্ত হৃদয় মন দিয়ে প্রত্যক্ষ অনুভব করি । ৭ পৌষ ১৩২০ মুক্তির দীক্ষা আমাদের আশ্রমের উৎসবের ভিতরকার তত্ত্বটি কী তাই আজ আমাদের বিশেষ করে জানবার দিন। যে মহাত্মা এই আশ্রম প্রতিষ্ঠ} করেছিলেন আজ তারই দীক্ষণদিনের সাম্বৎসরিক । আজকের এই উৎসবটি তার জন্মদিনের বা মৃত্যুদিনের উৎসব নয়। তার দীক্ষাদিনের উৎসব। তার এই দীক্ষার কথাই এই আশ্রমের ভিতরকার কথা । ] ՓԵ )