পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন পথ দেখিয়ে দেখিয়ে চলেছেন। সে আজ নয় । আমরা অনস্ত পথের পথিক, আমরা যে কত যুগ ধরে চলেছি। যারা গাচ্ছেন তাদের গান আমাদের কানে পোঁচচ্ছে। তাই যদি না পৌছয় তবে কী নিয়ে আমরা থাকব! দিনের পর দিন কি এমনি করেই চলে যাবে! এই কাড়াকড়ি মারামারি উদ্ধৃবৃত্তির মধ্যে কি জীবন কাটবে! এইজন্তেই কি জন্মেছিলুম! জীবনের পথে কি এইজন্যেই আমাদের চলতে বলা হয়েছে ! এই যে সংসারে জন্মেছি, চলেছি, এখানে কত প্রেম কত আনন্দ যে ছড়িয়ে রয়েছে তা কি আমরা দেখছি না ! কেবলই কি দেখব পদমর্যাদা টাকাকড়ি বিষয়বিভব, আর কিছুই নয়! যিনি সকল মানবের বিধাতা, একবার তার কাছে দাড়াবার কি ক্ষণমাত্র অবকাশ হবে না ! পৃথিবীর এই মহাতীর্থে সেই জনগণের অধিনায়ককে কি প্রণাম নিবেদন করে যাব না ! কিন্তু, ভয় নেই, ভয় নেই। র্তার তো শাসন নেই। তাই একবার হৃদয়ের সমস্ত প্রীতিকে জাগ্রত করি । একবার সব নিয়ে আমাদের জীবনের একটি পরম প্রণাম রেখে দিয়ে যাব । জানি, অন্যমনস্ক হয়ে আছি— তবু বলা যায় না— শুভক্ষণ যে কখন আসে তা বলা যায় না। তাই তো এথানে আসি । কী জানি যদি মন ফিরে যায়। তিনি যে ডাক ডাকছেন— তার প্রেমের ডাক, যদি শুভক্ষণ আসে, যদি শুনতে পাই । সমস্ত কোলাহলের মাঝখানে তাই কান খাড়া করে রয়েছি— এই মুহূর্তেই হয়তো তার ডাক আসতে পারে। এই মুহূর্তেই আমার জীবনপ্রদীপের যে শিখাটি জলে নি সেই শিখাটি জলে উঠতে পারে। আমাদের সত্য প্রার্থনা, যা চিরদিন অস্তরের এক প্রাস্তে অপেক্ষা করে রয়েছে, সেই প্রার্থনা আজ জাগুক : আসতো মা \లిసెe