পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রসর হওয়ার আহবান তোমরা যদি বিশ্বাসের মূল না পাও তবে অন্ত-কিছুতে এমনই কী ভিত্তি পাবে? নূতন জিনিস কিছু পেলেই মনকে তা আলোড়িত করে । একজন ইংরাজ কবি একদিন আমাকে বললেন যে, তার ধর্মবিশ্বাস অত্যন্ত শিথিল হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু রেডিয়মের আবিষ্কারে র্তার বিশ্বাসকে ফিরিয়েছে। তার মানে, ওরা বাইরের দিক থেকে ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিকে পাকা করবার চেষ্টা করে । সেইজন্ত ওরা যদি কখনো দেখে যে, মানুষের ভক্তির গভীরতার মধ্যেই একটা প্রমাণ রয়েছে— যেমন চোখ দিয়ে বাহ ব্যাপারকে দেখছি বলে তার প্রমাণ পাচ্ছি তেমনি একটা অধ্যাত্মদৃষ্টির দ্বারা আধ্যাত্মিক সত্যকে প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করা যায়— তা হলে ওরা একটা ভরসা পায় । প্রফেসর জেমস প্রভৃতি দেখিয়েছেন যে মিষ্টিক বলে যারা গণ্য র্তারা তাদের ধর্মবিশ্বাসকে কেমন করে প্রকাশ করেছেন । তাদের সব জীবনের সাক্ষ্য থেকে তিনি দেখিয়েছেন যে, তারা সবাই একই কথা বলেছেন, র্তাদের সকলেরই অভিজ্ঞতা একই পথ দিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশে নানা অবস্থার নানা লোক একই বাণী নানা কালে ব্যক্ত করেছেন । এ বড়ো আশ্চর্য । এই প্রসঙ্গের উপলক্ষে স্টপ ফোর্ড, ক্রক বলেছিলেন যে, ধর্মকে এমন স্থানে দাড় করানো দরকার যেখান থেকে সকল দেশের সকল লোকই তাকে আপনার বলে গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ, কোনো-একটা বিশেষ স্থানিক বা সাময়িক ধর্মবিশ্বাস বিশেষ দেশের লোকের কাছেই আদর পেতে পারে, কিন্তু সর্বদেশের সর্বকালের লোককে আকর্ষণ করতে পারে না। আমাদের ধর্মের কোনো ডগমা নেই শুনে তিনি ভারি খুশি হলেন ; বললেন “তোমরা খুব বেঁচে গেছ। ডগমার কোনো অংশ \రి:S\లి: