পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন -খানেই তার চিরজীবনের সাধনা তার বিশেষ সার্থকতা লাভ করে নি, এই আশ্রমের মধ্যেই তার সার্থকতা সম্পূর্ণ হয়েছিল। ‘আরো’র দিকে চলো সেই ডাক তিনি শুনে বেরিয়েছিলেন ; সেই মন্ত্রে তিনি দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন ; এবং সেই ডাকটি, সেই মন্ত্রটি তিনি আমাদের মধ্যে রেখে গিয়েছেন । তিনি বলেছেন, ‘এসো, এসো, আরো পাবে।’ অনন্তস্বরূপের ভাণ্ডার যদি উন্মুক্ত হয়, তবে তার আর সীমা কোথায় ? তাই আমাদের দেখতে হবে যে, আমরা যেন সেই পথে তার অনুসরণ করি যে পথ দিয়ে তিনি চলে গিয়েছেন। জ্ঞানে প্রেমে ধর্মে সকল দিকে যেন মুক্তির পথেই ক্রমাগত অগ্রসর হতে থাকি। এ কথা ভুলবার নয় যে, এ আশ্রম সম্প্রদায়ের স্থান নয়, এখানে সমস্ত বিশ্বের আমরা পরিচয় পাব । এখানে সকল জাতির সকল দেশের লোক সমাগত হবে। র্তার এই দীক্ষার মন্ত্রকে, সমস্তকে ঈশ্বরের মধ্যে দেখার মন্ত্রকে আমরা কোথাও সংকোচ করব না । আমাদের অগ্রসরের পথ যেন কোনোমতেই বদ্ধ না হয় । ৭ পৌষ ১৩২০ মা মা হিংসীঃ মানুষের সকল প্রার্থনার মধ্যে এই-যে একটি প্রার্থনা দেশে দেশে কালে কালে চলে এসেছে 'মা মা হিংসী’, ‘আমাকে বিনাশ কোরো না, আমাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করো’– এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। যে শারীরিক মৃত্যু তার নিশ্চিত ঘটবে তার থেকে রক্ষা পাবার জন্য মানুষ প্রার্থনা করতে পারে না, কারণ এমন অনর্থক প্রার্থনা করে তার リ>bア