পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন যদি ভুলে গিয়ে থাকি, অন্তত আজ উৎসবের আনন্দালোকে আশ্রমের সেই অমৃতরূপকে স্বম্পষ্ট উপলব্ধি করবার জন্য প্রস্তুত হও । আজ উদবোধিত হও, সত্যকে দেখো । আজ বাতাসের মধ্যে সেই দীক্ষার মন্ত্র প্রৰণ করো— ঈশাবাস্তমিদং সৰ্বং যংকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ । তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ মা গৃধঃ কস্যস্বিদ্ধনম্। "যে পরম ইচ্ছায় সমস্ত জগং বিধৃত ও চালিত, যে পরম ইচ্ছায় স্বর্য চন্দ্র তারা নিয়মিত, এবং আকাশের অনন্ত-আরতি-দীপের কোনোদিন নির্বাণ নাই, সেই পরম ইচ্ছার দ্বারা সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাও যে আচ্ছন্ন ইহা উপলব্ধি করে ? সব স্পন্দিত তার ইচ্ছার কম্পনে, তার আনন্দের বিদ্যুতে। সেই আনন্দকে দেখো । তিনি ত্যাগ করছেন তাই ভোগ করছি । তিনি ত্যাগ করছেন তাই জীবনের উৎস দশ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে, আনন্দের নদী শাখায় প্রশাখায় বয়ে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে স্বামীজীর পবিত্র প্রীতিতে— পিতামাতার গভীর স্নেহে— মাধুর্যধারার অবসান নেই। অজস্র ধারায় সেই জীবন, সেই আনন্দ, সেই প্রেম প্রবাহিত ; ভোগ করো, আনন্দে ভোগ করে । আকাশের নীলিমায়, কাননের তামলিমায়, জ্ঞানে প্রেমে আনন্দে— ভোগ করো, পরিপূর্ণরূপে ভোগ করে । মা গৃধ । মনের ভিতরে কোনো কলুষ, কোনো লোভ না আহক। পাপের লোভের সকল বন্ধন মুক্ত হোক । এই তার দীক্ষার মন্ত্র । এই মন্ত্র আশ্রমকে স্বষ্টি করেছে, এই মন্ত্র এই আশ্রমকে রক্ষা করেছে। এই আশ্রমের আকাশে, পুণ্য সমীরণে, নির্মল আলোকে, উদার প্রাস্তরে, এই আমাদের সম্মিলিত জীবনের মধ্যে এই মন্ত্রকে מציג 8