পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরো দেখবার, শ্রবণ করবার, গ্রহণ করবার জন্য অদ্য এই উৎসব । চিত্ত জাগ্রত হোক, আশ্রমদেবতা প্রত্যক্ষ হোন, তিনি তার মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করুন। এই ফুলের মতো স্বকুমার তরুণজীবনগুলির উপর র্তার স্নেহাশীর্বাদ পড়ুক, বিকশিত হোক এরা পুণ্যে প্রেমে পবিত্রতায় ; স্মরণ করুক এই শুভদিন, গ্রহণ করুক এই মন্ত্ৰ— এই চিরজীবনের পাথেয়। এদের সম্মুখে সমস্ত জীবনের পথ রয়েছে– অমৃত আশীর্বাদ এরা গ্রহণ করে যাত্রা করুক, চিরজীবনের দীক্ষাকে লাভ করে এরা অগ্রসর হয়ে যাক । পথের সমস্ত বাধা বিপত্তি সংকটকে অতিক্রম করে যাবার জন্যে এই দীক্ষার মন্ত্র তাদের সহায় হোক : উদবোধিত হও, জীবনকে উদবোধিত করে । ৭ পৌষ ১৩২১ অারো আরো চাই, আরো চাই— এই গান উৎসবের গান। আমরা সেই ভাণ্ডারে এসেছি যেখানে আরো পাব । পৃথিবী ধনে ধান্তে পরিপূর্ণ...মাজুষের ঘর স্নেহে প্রেমে পরিপূর্ণ, লক্ষ্মীর কোলে মানুষ জন্মেছে। সেখানে আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে । এক-একদিন তার বাইরে এসে আরো’র ভাণ্ডারের প্রাঙ্গণে দাড়িয়ে মানুষের উৎসব। * একদিন মানুষ পৃথিবীতে দেবতাঙ্ক বড়ো ভয় করেছিল। কে যে প্রসন্ন হলে জীবন সুখে স্বচ্ছন্দে কাটে, কে যে অপ্রসন্ন হলে দুর্যোগ উপস্থিত হয়— তা মানুষ কোনোমতেই সেদিন ভেবে পায় নি। 8 » ጫ