পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड५i८द्भ করব, আমরা অপমান নিন্দ বিন্ধপের আঘাত পাব— তাতে আমরা ভয় করব না। ... . অামাদের । কতনে ইতিহাসবিধাতা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, কোন অমৃতমন্ত্রে সেই শক্তিকে আমরা পাব। ঈশাবাস্তমিদং সৰ্বম্ " ভয় নেই, সমস্তই পরিপূর্ণতার দ্বারা আবৃত। মৃত্যুর উপরে সেই অমৃত । ঈশের দ্বারা আচ্ছন্ন করে দেখে— সর্বত্র সেই আনন্দলোক উদঘাটিত হবে, ভয় চলে যাবে। দূর করে সব জালজঞ্জাল, বেরিয়ে এসো। - ভোগস্থখ মোহকলুষ আমাদের পায়ে পায়ে জড়িয়ে ধরেছে, নিৰ্ভয়ে সব ফেলে দিয়ে বীরত্বের অভিষেকস্বানে শুচি হয়ে বেরিয়ে এসো । আজ জগৎ জুড়ে ষে ক্ৰন্দন বেজেছে তার মধ্যে ভয়ের স্বর নেই, তার ভিতর দিয়ে ইতিহাস তৈরি হচ্ছে— তারই মধ্যে ইতিহাসবিধাতার আনন্দ । সে ক্ৰন্দন তার মধ্যে শাস্ত । সেই শাস্তং শিবম্ অদ্বৈতম্’এর মধ্যে মৃত্যু মরেছে। তিনি নিজের হাতে মানুষের ললাটে জয়তিলক পরিয়েছেন । তিনি বিচ্ছেদবিরোধের মাঝখানে দাড়িয়েছেন । যাত্রীরা যেখানে যাত্রা করেছে, মৃত্যুর ঝংকার যেখানে প্রতিধ্বনিত, সেইখানে দেখে সেই শাস্তং শিবম্ অদ্বৈতম । আজ সেই রুত্রের দক্ষিণ হস্তের আশীর্বাদ গ্রহণ করো। রুদ্রের প্রসন্ন হাসি তখনই দেখা যায় যখন তিনি দেখতে পান যে তার বীর সস্তানেরা দুঃখকে অগ্রাহ করেছে। তখনই তার সেই প্রসন্ন মুখের হাস্যচ্ছটা বিকীর্ণ হয়ে সত্যজ্যোতিতে অভিষিক্ত করে দেয়। রুদ্রের সেই প্রসন্নতা আজ উৎসবের দিনে আমাদের জীবনের উপরে বিকীর্ণ হোক । প্রাতে ৭ পৌষ ১৩২১ २१ क 8及为