অন্তরতর শাস্তি জীবের অন্ধকার দেহের মধ্যে চক্ষুকে বিকশিত করে স্বর্গের আলোকের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। সেই একই সাধনা অন্ধ চৈতন্তের মধ্যে রয়েছে— আত্ম কাছে সেখানে । কতদিন পর্যন্ত অন্ধ জীব চক্ষু পায় নি সে জানত না তার ভিতরে আলোকবিরহী কাদছিল— সে না। জানলেও সেই কান্না ছিল বলেই চোখ খুলেছে। অস্তরের মধ্যে চৈতন্যগুহায় অন্ধকারে পরম জ্যোতির জন্য মানুষের তপস্যা চলেছে। এ কথা কখনোই সত্য নয় যে, কোনো মানুষের আত্মা ধনজনের জন্য । লালায়িত । মগ্নচৈতন্যের অন্ধকারময় রুদ্ধ বাতায়নে বিরহী আত্মা কাদছে— সেই কান্না সমস্ত কোলাহলের আবরণ ভেদ করে নক্ষত্ৰলোক পর্যন্ত উঠেছে । আনন্দ যেদিন আসবে সেদিন চোখ মেলে দেখব সেই জ্যোতির্ময়কে । সেদিন তিনি আমার ভবনে আসবেন এবং বিশ্ব ভুবনে তার সাড়া পড়ে যাবে। ৭ পৌষ ১৩২১ অন্তরতর শান্তি তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে। নিশিদিন অনিমেষে দেখছ মোরে । তিনি যে চেয়ে রয়েছেন আমার মুখের দিকে, আমার অস্তরের মাঝখানে— এ কি উপলব্ধি করব এইখানে ? এ-সব কথা কি এই কোলাহলে বলবার কথা ? তারার আলোকে, স্নিগ্ধ অন্ধকারে, ভক্তের অস্তরের নিস্তন্ধলোকে যখন অনন্ত আকাশ থেকে একটি অনিমেষ নেত্রের দৃষ্টি পড়ে, তখন সেই নিঃশব্দ বিরলতার মধ্যেই এই পরম 8象●
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।