পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন এলে বৃক্ষ যেমন করে তার দেহ হতে শুষ্ক পত্র ঝেড়ে ফেলে, নব পল্লবে সেজে ওঠে, মানবপ্রকৃতি কোন এক প্রাণপূর্ণ হাওয়ায় ঠিক তেমনি করে সেজে ওঠবার জন্ত ব্যাকুল। মানবপ্রকৃতি পূর্ণ তার আস্বাদ পেয়েছে, একে এখন কোনমতেই বাইরের শক্তির দ্বারা চেপে ছোট করে রাখা চলবে না । আসল জিনিষটা সহসা আমাদের চোথে পড়ে না, অনেক সময়ে এমন কি তার অস্তিত্ব পর্য্যন্তও অস্বীকার করে বসি । আজ আমরা বাহির হতে দেখচি চারিদিকে একটা তুমুল আন্দোলন উপস্থিত, যাকে আমরা পলিটিক্স ( Politics ) বলি । তাকে যত বড় করেই দেখি না কেন, সে নিতান্তই বাহিরের জিনিষ। আমাদের আত্মাকে কিছুতে যদি জাগরিত করচে সত্য হয়, তবে তা ধৰ্ম্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধৰ্ম্মের মূল-শক্তিটি প্রচ্ছন্ন থেকে У o 8