পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন মন্দিরের দ্বার উদঘাটিত হল—আমাদের কি পরম সৌভাগ্য। আজ বিশ্ব দেবতাকে দর্শন করতেই হবে, অন্ধ হয়ে ফিরে গেলে কিছুতেই চলবে না। আজ প্রকাও উৎসব ; এই উৎসব একদিনের নয়, দু দিনের নয়— শতাব্দী-ব্যাপী-উৎসব। এই উৎসব কোন বিশেষ স্থানের নয় কোন বিশেষ জাতির নয়-- এই উৎসব সমগ্র মানব-জাতির জগংজোড়া উৎসব। এস, আমরা সকলে একত্র হই, বাহির হয়ে পড়ি । দেশে কোন রাজার যখন আগমন হয় তাকে দেখবার জন্ত যখন পথে ৰাহির হয়ে আসি তখন মলিন জীর্ণ বস্ত্রকে ত্যাগ করতে হয়, তখন নবীন বস্ত্রে দেহকে সজ্জিত করি । আজ দেশের রাজা নন সমগ্র জগতের রাজা এসে সম্মুখে দাড়িয়েছেন, নত কর উদ্ধত মস্তক। দূর কর সমস্ত বর্ষের সঞ্চিত আবর্জনা । মনকে শুভ্র করে তোল। শাস্ত হও, পবিত্র হও । می دهد.