পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন আশ্রম হয়ে দাড়িয়েছে। যিনি ঈশানো ভূতভব্যস্ত, তার স্পর্শে বোলপুরের মাঠের এই ভূখণ্ডটুকু ভূত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে দেথা দিয়েছে। এই আশ্রমটির মধ্যে ভারতবর্ষের একটি ভূতকালের আবির্ভাব আছে। সে হচ্চে সেই তপোবনের , কাল । যে কালে ভারতবর্ষ তপোবনে শিক্ষালাভ করেছে, তপোবনে সাধনা করেছে এবং সংসারের কৰ্ম্ম সমাধা করে তপোবনে জীবিতেশ্বরের কাছে জীবনের শেষ নিশ্বাস নিবেদন করে দিয়েছে। যে কালে ভারত বর্ষ জল স্থল আকাশের সঙ্গে আপনার যোগ স্থাপন করেছে এবং তরুলত পশুপক্ষীর সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ দূর করে দিয়ে “সৰ্ব্বভূতেষু চাত্মানং” আত্মাকে সৰ্ব্বভূতের মধ্যে দর্শন করেছে। শুধু ভূতকাল নয়, এই আশ্রমটির মধ্যে একটি ভবিষ্ণুৎকালের আবির্ভাব আছে । কারণ, সত্য কোন অতীতকালের জিনিষ ఫి