পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন উপনিষদের অনুশাসন। উপনিষৎ যে ত্যাগের কথা বলচেন সেই ত্যাগই পূর্ণতর গ্রহণ, সেই ত্যাগই গভীরতর আনন্দ । সেই ত্যাগই নিখিলের সঙ্গে যোগ, ভূমার সঙ্গে মিলন। অতএব ভারতবর্ষের যে আদর্শ তপোবন, সে তপোবন শরীরের বিরুদ্ধে আত্মার, সংসারের বিরুদ্ধে সন্তাসের একটা নিরস্তর হাতাহাতি যুদ্ধ করবার মল্লক্ষেত্র নয়। *যৎকিঞ্চি জগত্যাং জগৎ’ অর্থাৎ যা কিছু-সমস্তের সঙ্গে, ত্যাগের স্বারা বাধাহীন মিলন—এইটেই হচ্চে তপোবনের সাধন । এই জন্তেই তরুলত পশুপক্ষীর সঙ্গে ভারতবর্ষের আত্মীয় সম্বন্ধের যোগ এমন ঘনিষ্ঠ যে অন্তদেশের লোকের কাছে সেটা অদ্ভূত মনে হয়। এই জন্তেই আমাদের দেশের কবিত্বে ষে প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় অন্তদেশের কাব্যের সঙ্গে তাৰ যেন একটা বিশিষ্টতা আছে । আমাদের এ প্রকৃতির প্রতি প্রভুত্ব € $