পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন করা নয়, প্রকৃতিকে ভোগ করা নয়, এ প্রকৃতির সঙ্গে সন্মিলন । অথচ এই সম্মিলন অরণ্যবাসীর বর্বরতা নয়। তপোবন আফ্রিকার বন যদি হত তাহলে বলতে পারতুম প্রকৃতির সঙ্গে মিলে থাকা একটা তামসিকতা মাত্র । কিন্তু মানুষের চিত্ত যেখানে সাধনার দ্বারা জাগ্ৰত আছে সেখানকার মিলন কেবলমাত্র অভ্যাসেব জড়ত্বজনিত হতে পারে না । সংস্কারের বাধা ক্ষয় হয়ে গেলে যে মিলন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তপোবনের মিলন হচ্চে তাই । আমাদের কবির সকলেই বলেচেন, তপোবন শাস্তুর সাম্পদ ৷ তপোবনের যে একটি বিশেষ রস আছে সেটি শাস্তরস। শান্তরস হচ্চে পরিপূর্ণতার রস। যেমন সাতটা বর্ণরশ্মি মিলে গেলে তবে সাদা রং হয় তেমনি চিত্তের প্রবাহ নানাভাগে বিভক্ত না হয়ে যখন অবিচ্ছিন্নভাবে নিখিলের সঙ্গে আপনার &\