পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন এই যে নিখিলের সঙ্গে মানুষের বিচ্ছেদ, এর মুলে একটি গভীরতর বিচ্ছেদের কথা আছে । এর মধ্যে “ঈশাবাস্তমিদং সৰ্ব্বং যংকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ" জগতে যা কিছু আছে সমস্তকেই ঈশ্বরের দ্বারা সমাবৃত করে জানবে —এই বাণীটির অভাব আছে। এই পাশ্চাত্য কাব্যে ঈশ্বরের সৃষ্টি ঈশ্বরের যশোকীৰ্ত্তন করবার জন্তেই ; ঈশ্বর স্বয়ং দুরে থেকে তার এই বিশ্বরচনা থেকে বন্দন গ্রহণ করচেন। মানুষের সঙ্গে ও আংশিক পরিমাণে প্রকৃতির সেই সম্বন্ধ প্রকাশ পেয়েছে অর্থাৎ প্রকৃতি মানুষের শ্রেষ্ঠতা প্রচারের জন্তে । ভারতবর্ষও যে মানুষের শ্রেষ্ঠতা অস্বীকার করে তা নয় । কিন্তু প্রভুত্ব করাকেই ভোগ করাকেই সে শ্রেষ্ঠতার প্রধান লক্ষণ বলে মানে । মানুষের শ্রেষ্ঠতার সৰ্ব্ব প্রধান পরিচয়ই হচ্চে এই যে মানুষ সকলের সঙ্গে মিলিত হতে পারে! সে মিলন মুঢ়তার মিলন নয় সে মিলন سرانی