পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন সম্পদ বহন করে নিয়ে যেত, যে অশ্রাস্ত ধারার কলধবনি জগৎসঙ্গীতের তানপুরার মত পৰ্ব্বতশিখর থেকে মহাসমুদ্র পর্য্যন্ত নিরস্তর বাজতে থাকৃত—সেই বিশ্বকল্যাণী ধারাকে কেবল খণ্ড খণ্ড ভাবে এক একটা ক্ষুদ্র গ্রামের সামগ্র করে তোলে—সেই খণ্ডতাগুলি আপন পূৰ্ব্বতন ঐক্যটিকে বিস্তৃত হয়ে বিশ্বনৃত্যে আর যোগ দেয় না, বিশ্বগীতসভায় আর স্থান পায় না,— সেই রকম করেই নিখিল মানবের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্বন্ধের পুণ্যধারা সহস্ৰ সাম্প্রদায়িক বালুর চরে খণ্ডিত হয়ে গতিহীন হয়ে পড়ল – তার পরে, হায়, সেই বিশ্ববাণী কোথায় ? কোথায় সেই বিশ্বপ্রাণের তরঙ্গদোলা ? রুদ্ধ জল যেমন কেবলি ভয় পায় অল্পমাত্র অশুচিতায় পাছে তাকে কলুষিত করে, এইজন্তে সে যেমন স্নান-পানের নিষেধের দ্বারা নিজের চারিদিকে বেড়া তুলে দেয়, তেমনি আজ বদ্ধ ভারতবর্ষ কেবলি কলুষের আশঙ্কায় বাহিরের বৃহৎ