পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবযুগের উৎসব ংস্রবকে সৰ্ব্বতোভাবে দূরে রাখবার জন্তে নিষেধের প্রাচীর তুলে দিয়ে স্থৰ্য্যালোক এবং বাতাসকে পর্য্যস্ত তিরস্কৃত করেছেন,—কেবলি বিভাগ, কেবলি বাধা ;—বিশ্বের লোক গুরুর কাছে বসে যে দীক্ষা নেবে সে দীক্ষার মন্ত্র কোথায়, সে দাক্ষার অবারিত মন্দির কোথায়, —সে আহবানবাণী কোথায় যে বাণী একদিন চারিদিকে এই বলে ধবনিত হয়েছিল – “যথাপঃ প্রবতীযস্তি যথা মাসা অহর্জরম্ এবং মাং ব্রহ্মচারিণেtধাত আয়ত্ত্ব সৰ্ব্বতঃ স্বtহtঃ” জল যেমন স্বভাবতই নিম্নদেশে গমন করে, মাস সকল যেমন স্বভাবতই সংবৎসরের দিকে ধাবিত হয়, তেমনি সকল দিক হতেই ব্রহ্মচারিগণ আমার নিকট আসুন স্বাহা !” কিন্তু সেই স্বভাবের পথ যে আজ রুদ্ধ । ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, সমাজ তাদের সিংহদ্বার বন্ধ করে বসে আছে— কেবল অন্তঃপুরের যাতায়াতের জন্তে খিড়কির দরজার ব্যবহার চলচে মাত্র ।