পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন । আমরাও সমস্ত দিন অপেক্ষাকৃত মৃত্তর ভাবে সামাজিক বাধা পথে কেবলমাত্র মনের শক্তিকে খরচ করবার জন্তেই খরচ করে থাকি। মনকে মুক্তি দেবার, শক্তিকে খাটিয়ে নেবার আর কোনো উপায় আমরা জানিনে । দানে এবং ব্যয়ে অনেক তফাত । আমিরা মহিষের জন্ত যা দান করি তা এক দিকে খরচ হয়ে অন্যদিকে মঙ্গলে পূর্ণ হয়ে ওঠে, কিন্তু মানুষের কাছে যা ব্যয় করি তা কেবলমাত্রই খরচ । তাতে দেখতে পাই আমাদের গভীরতর চিত্ত কেবলি নিঃস্ব হতে থাকে, সে ভরে ওঠে না ; তার শক্তি হাস হয়, তার ক্লাস্তি আসে, অবসাদ আসে—নিজের রিক্ততা ও ব্যর্থতার ধিক্কারকে ভুলিয়ে রাখবার জন্তে কেবলি তাকে নুতন নুতন কত্রিমতা রচনা করে চলতে হয়—কোথাও থামৃতে গেলেই তার প্রাণ বেরিয়ে যtয় । এই জন্ত যারা সাধক, পরমার্থ লাভের ○br