পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন অর্থাৎ, আমরা নিজের সমস্ত শক্তিকে বাইরেই অহরহ এই যে নিঃশেষ করে ফতুর হয়ে যাচ্চি—বাইরের সংস্রব পরিহার করাই তার প্রতিকার নয়, কারণ, মানুষকে ছেড়ে মামুধকে চলে ধেতে বল, রোগের চেয়ে চিকিৎ - সাকে গুরুতর করে তোলা । এর যথার্থ প্রতি কার হচ্চে ভিতরের দিকে ও অtপনার প্রতিষ্ঠা লাভ করে অস্তরে বাহিরে নিজের সামঞ্জস্ত স্থাপন করা । তাহলেই জীবন সহজেই নিজেকে উন্মত্ত অপব্যয় থেকে রক্ষ । করতে পারে । নইলে একদল ধৰ্ম্মলুব্ধ লোককে দেখতে পাই তারা নিজের কথাকে, হাসিকে, উদ্যমকে কেবলি মানদণ্ড হাতে করে হিসাবী কৃপণের মত খৰ্ব্ব করচে । তার নিজের বরাদ যতদুর মানে সম্ভব তাই কমিয়ে নিজের মনুষ্যত্বকে কেবলি শুষ্ক কৃশ আনন্দহীন করাকেই সিদ্ধির লক্ষণ বলে মনে করচে । 8 е