পাতা:শান্তিনিকেতন (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন সত্যকে যথার্থ উপলব্ধি করতে না পারলে অন্তের মধ্যে ও সেই সত্যকে দেখতে পাব না এবং অন্তের সঙ্গে আমাদের সত্য সম্বন্ধ স্থাপিত হবেন । ষখন জানব যে পরমাত্মার মধ্যে আমি আছি এবং আমার মধ্যে পরমাত্মা রয়েছেন তখন অন্তের দিকে তাকিয়ে নিশ্চয় দেখতে পাব সেও পরমাত্মার মধ্যে রয়েছে এবং পরমাত্মা তার মধ্যে রয়েছেন—তখন তার প্রতি ক্ষমা প্রীতি সহিষ্ণুতা আমার পক্ষে সহজ হবে,তখন সংযম কেবল বাহিরের নিয়ম পালনমাত্র হবে না । যে পৰ্য্যস্ত তা না হয়, যে পৰ্য্যন্ত বহিরই আমাদের কাছে একান্ত, যে পৰ্য্যন্ত বাহিরই সমস্তকে অত্যন্ত আiড়াল করে দাড়িয়ে সমস্ত অবকাশ রোধ করে ফেলে—সে পৰ্য্যস্ত কেবলি বলতে হবে – “ভাব তীরে অস্তরে যে বিরাজে অন্ত কথা ছাড়ন ।